আপনার কি অতিরিক্ত ইন্টারনেট ডাটা খরচ হচ্ছে? তাহলে নিয়ে নিন এই সমস্যার সমাধান!

আসসালামু আলাইকুম।

বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। এটি আমার ৩২ তম  টিউন, আশা করি কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বন্ধুরা আশা করি আপনারা টিউনের শিরোনাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন।

আমরা যারা লিমিটেড নেট ইউজ করি যেমন ১জিবি ২জিব ৩জিবি ইত্যাদি তাদের জন্য ব্রাউজিং এবং ডাউনলোড একটু কষ্টকর! কারন আমরা নিজের ইচ্ছামত কোন জিনিস ডাউনলোড বা ব্রাউজিং করতে পারি না, যেহেতু লিমিটেড নেট!

যাই হোক, এই লিমিটেড নেটের যন্ত্রনার ওপরে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে হাজির হয়েছে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ খরচ! আপনি হয়ত মাঝে মাঝেই খেয়াল করেছেন যে আপনি বেশি ব্রাউজিং অথবা ডাউনলোড না করা সত্তেও অতিরিক্ত ডাটা খরচ হচ্ছে? এর কারন কি? অনেক ঘোরাঘুরি করে আমি এর সমাধান পেয়েছি তাই আজ আপনাদের সাথেও শেয়ার করলাম।
১। অ্যাড ব্লকার ব্যবহার
আমাদের অতিরক্ত ইন্টারনেট ডাটা ইউজের প্রধান কারন হচ্ছে ওয়েবসাইট গুলোর অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বা অ্যাড। মাত্রাতিক্ত অ্যাড ব্যবহারের ফলে সেইসব অ্যাড আমাদের অতিরক্ত ডাটা খরচ করে ফেলছে আর আমাদের নেট তারাতারি শেষ হয়ে যাচ্ছে।  এর থেকে বাচার উপায় হচ্ছে  অ্যাড ব্লকার  ইউজ করা আমি নিচে একটি বহুল ব্যবহারকৃত অ্যাড ব্লকার এর ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিচ্ছি। এই অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে নেট ডাটা খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।
ডাউনলোড লিঙ্ক -  এখানে ক্লিক করুন।

২) প্রক্সি ব্রাউজার ব্যবহার করা
হ্যা, এটা নেট ইউজ কমানোর আরেকটি ভালো উপায়। সাধারণত মজিলা ফায়ারফক্স বা গুগল ক্রোম জাতীয় ব্রাউজার অতিরক্ত ডাটা কেটে নেয়। এর চেয়ে যদি আপনি অপেরা ব্যবহার করেন তাহলে অনেক কম নেট ইউজ হবে পাশাপাশি খুব দ্রুত ব্রাউজিংও করতে পারবেন! আমি নিজেই এখন অপেরা ব্যবহার করছি এবং এর ভক্ত হয়ে গেছি! 
৩) ভাইরাস রিমুভ করা

হ্যা, আপনার কম্পিউটারে যদি প্রচণ্ড ভাইরাসের আক্রমন হয় তাহলেও কিন্তু অতিরিক্ত নেট ডাটা খরচ হতে পারে। তাই এর থেকে বাচার উপায় হচ্ছে একটি ভালো এন্টিভাইরাস ইউজ করা। ভালো অ্যান্টিভাইরাস অর্থাৎ ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা পাইরেসি অ্যান্টিভাইরাস না! ভাল দেখে একটা ক্যাস্পারস্কি, নরটন অথবা ম্যাকাফি এন্টিভাইরাস কনে ফেলুন আর ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন!
আশা করি, এই টিপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে। এইগুলো মেনে চললে দেখবেন আপনার নেট ডাটা খরচ অনেকাংশে কমে গিয়েছে! এর বাইরেও আরও কিছু টিপস আছে যেগুলো আপনার ব্যান্ডউইথ খরচ কমাতে পারে।